ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়- ব্লগিং এর সম্পর্কিত এ টু জেডআসসালামু আলাইকুম আশা করছি সকলে ভালো আছেন,আজকের এই পোষ্টটি শুধু তাদের জন্য যারা ব্লগিং থেকেআনিং করতে চাচছেন এবং ব্লগিং বিষয়টি সম্পর্কে আপনি শুরুকরার পুরবে এ টু জেড চাচছেন।
আশা করছি সকলে ভালো আছেন,আজকের পর থেকে আপনাদেরকে সম্পূর্ণভাবে জানাবো ব্লগিং করে কিভাবে টাকা উপার্জন হয় এবং ব্লগিং করে কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন।
এছাড়াও আজকের পোষ্টে জানবেন –ব্লগিং কি, ব্লগ সাইট কিভাবে তৈরি করতে হয়, কোন কোন মাধ্যমে ব্লগিং থেকে উপার্জন করা যায়, আপনি আসলেই ব্লগিং করার জন্য পার্ফেক্ট কিনা অর্থাৎ ব্লগিং এবং ব্লগ সাইট সম্পর্কিত সকল তথ্য আজকে জানতে পারবেন।শুরুতেই বলি এই পোস্টটি তাদের জন্য যারা ব্লগিং করে ঘরে বসে অনায়াসে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম ইন্টারনেট বা অনলাইন থেকে করতে চান
ব্লগিং কি
ব্লগিং হচ্ছে অনলাইন থেকে আয় করার আরেকটি বড় প্ল্যাটফর্ম। ব্লগিং করে বাংলাদেশের অনেক চাকরিজীবী এবং ছাত্র-ছাত্রী এবং বেকার শিক্ষিত ভাই-বোনেরা প্রচুর পরিমাণে টাকা প্রতি মাসে আয় করছে এবং অনলাইনে ক্যারিয়ার সম্পূর্ণভাবে তৈরি করেছে।
ব্লগিং-এ ক্যারিয়ার গড়া খুবই সহজ। তবে আপনাকে ব্লগিং নিয়ে কাজ করার পূর্বে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন?
ব্লগিং বা ব্লগ সাইট তৈরি করে ব্লগিং শুরু করা খুবই সহজ সে ক্ষেত্রে 2 টি সিস্টেম রয়েছে একটি হচ্ছে ফ্রিতে আরেকটি হচ্ছে টাকা দিয়ে।
তবে আপনি যদি বিগেনার হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমি আপনাকে সাজেশান করব আপনি ফ্রিতে ব্লগস্পটে গিয়ে আপনার সাইটটি একদম ফ্রিতে তৈরি করুন। কোন ধরনের কোনো ডোমেইন হোস্টিং কিনার শুরুর দিকে কোন দরকার নেই।
স্যার আপনি যদি শুরু থেকে একটু এডভান্স লেভেলের কাজ করতে চান বা ব্লগিং করতে চান। তাহলে আপনাকে সাজেশন করবো আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে শুরু করুন।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগিং শুরু করলে আপনি অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন প্লাগিন্স এর মাধ্যমে। আপনাকে কোন ধরনের কোনো কোডিং করতে হবে না, খুব সহজেই বিভিন্ন ফিচারগুলোঃ যুক্ত করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে।
মোট কথা হচ্ছে আপনি যে মাধ্যম থেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে যে ওয়েবসাইটে আপনি লেখালেখি করবেন।
একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে কিন্তু উপার্জন করার অনেক ধরনের মাধ্যম আছে। জনপ্রিয় যে কয়টি মাধ্যম আমি নিচে আলোচনা করছি
বিজ্ঞাপন-ব্লগ ও ওয়েবসাইট থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবচাইতে বেশি ইনকাম আসে।ধরুন আপনি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেছেন। সেই ব্লগসাইটটি মনিটাইজেশন অর্থাৎ গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে তাদের পলিসি গুলো অনুসরণ করেছে। এর পরে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করলে আপনার ওয়েবসাইট কিন্তু মনিটাইজেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে মনিটাইজেশন অন হলেই সেখানে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন স্পন্সার অ্যাপগুলি শো করা শুরু করবে।
সেই আর স্পন্সর কোম্পানিগুলো শুরুতে কিন্তু গুগলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে এবং অ্যাড দেখান আর বিনিময় অর্থাৎ বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময় আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে সেই কমিশনের একটি অংশ আপনি পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও এ বিজ্ঞাপন থেকে কিভাবে ইনকাম হয় এটি আপনি আরও সহজভাবে বুঝতে হলে, আপনি যে এই পোস্টটি পড়েছেন এই পোস্টের মধ্যে দেখুন গুগল থেকে কিছু বিজ্ঞাপন অর্থাৎ এড শো করছে এই এড এর বিনিময় কিন্তু আমি আমার ওয়েবসাইট থেকে আর্নিং পাচ্ছি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-আপনি ব্লগিং এ ক্যারিয়ার গড়ার পর আপনার ব্লগ সাইট থেকে কিন্তু আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও প্রচুর পরিমাণে ইনকাম প্রতিমাসে করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কমিশন পেশা। অর্থাৎ আপনি কারো প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেল করে দিলে তার একটি কমিশন কিন্তু আপনি পেয়ে যাবেন। বিস্তারিত জানতে এই লিংকটি ভিজিট করুন।
প্রোডাক্ট সেল –আপনি কিন্তু একটি ব্লগ সাইটে ফ্রিতে অর্থাৎ আপনার ই-কমার্স ব্লগ সাইট তৈরি করে আপনি কিন্তু খুব সহজেই সেখানে বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট সেল করে সরাসরি আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
Google Web Stories– তৈরি করে গুগল থেকে কিন্তু বাড়তি ইনকাম আপনি করতে পারবেন। এটি তৈরি করে আপনি বিভিন্ন ধরনের টপিক সম্পর্কে ক্যাম্পেইন চালিয়ে আপনি বাড়তি মানে কিন্তু এই ব্লগ সাইট থেকে করতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনি চাইলে ব্লগ সাইট সুন্দরভাবে তৈরি করে আপনি খুব সহজেই উপরের এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে ভালো মানের ইনকাম কিন্তু আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবে।
শেষ কথা আমি ব্লগিং সম্পর্কে আপনাদেরকে শুধু সাধারণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করছি যারা ব্লগিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন বা ব্লগিং এ ক্যারিয়ার গড়বেন তারা অবশ্যই এই সকল বিষয় মাথায় রেখে ব্লগিং করা শুরু করুন